আজ বিশ্ব অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে !!
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু
ট্রাম্প না হিলারি: রায় দিচ্ছে আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ এলাকায় ভোট শুরু না হলেও অর্ধশতকের পুরনো প্রথা মেনে মধ্যরাতেই ভোট দিয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের তিন কেন্দ্রের নিবন্ধিত ভোটাররা।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তিন কেন্দ্রের ভোটে ট্রাম্প স্বল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন ইলেকটোরাল ভোটে।
মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে ডিক্সভিল নচ কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। সেখানে জমা পড়া আটটি ব্যালটের চারটিতে এসেছে গাধা মার্কার হিলারি ক্লিনটনের নাম।
হাতি মার্কার ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন দুই ভোট; একটি ভোট গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী গ্যারি জনসনের নামে। বাকিজন ব্যালট পেপারে লিখেছেন গত নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী মিট রমনির নাম।
নির্বাচনের নিয়ম বা ভোটার সংখ্যা যাই হোক না কেন, ডিক্সভিল নচের এ বিজয় হিলারি সমর্থকদের আশার পালে হাওয়া দিতে পারে বলে মনে করছে সিএনএন। আগের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে এ কেন্দ্রে বিজয়ী প্রার্থীই শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউজে পৌঁছে গেছেন।
২০০৮ সালে বারাক ওবামার পক্ষে রায় দিয়েছিল এ কেন্দ্রের ভোটাররা; এর আগের দুই বার তারা ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশের পক্ষে। ২০১২ নির্বাচনে অবশ্য এ কেন্দ্রের মোট ১০টি ভোট ওবামা-রমনির বাক্সে সমান ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল।
ভোট দিয়েছেন কাছাকাছি এলাকা মিলসফিল্ডের বাসিন্দারাও। এখানে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ১৬-৪ ভোটে হিলারিকে হারিয়েছেন। এক ব্যালটে লেখা হয়েছে ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন না পাওয়া বার্নি স্যান্ডার্সের নাম।
হার্টস লোকেশন কেন্দ্রে হিলারি অল্প ব্যবধানে পরাজিত করেছেন ট্রাম্পকে। জিতেছেন ১৭-১৪ ভোটে। এই কেন্দ্রে দুই ভোট পেয়েছেন গ্যারি জনসন। এখানেও দুই ব্যালটে স্যান্ডার্সের নাম দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের নিয়ম অনুযায়ী ভোটারদের দেওয়া ভোট সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কাজে লাগে না। তাদের ভোটে নির্বাচিত হন প্রতিটি রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা। আর এই নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট।
ইলেকটোরাল কলেজের সদস্য সংখ্যা ৫৩৮ জন। প্রেসিডেন্ট হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করতে হয়। তাই কম ভোট পেয়েও ইলেকটোরালে ভোট বেশি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে।
দুটি বাদে অন্য সব রাজ্যে যে দল বেশি ভোট পায়, রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলোই সেই দলের পকেটে যায়। তবে মেইন ও নেব্রাস্কায় মোট ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে ইলেকটোরাল কলেজের সদস্য নির্বাচিত হন।
যে রাজ্যের তিন কেন্দ্রের ফল জানা গেছে, সেই নিউ হ্যাম্পশায়ারের ভোটাররা মোট চারজন ইলেকটর নির্বাচিত করবেন।
ইলেকটোরাল কলেজে সবচেয়ে বেশি ভোট ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি, এরপরে টেক্সাসে রয়েছে ৩৮টি, নিউ ইয়র্কে ২৯টি।
ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচিতরা দল থেকে আগেই মনোনীত থাকেন বলে তাদের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ঘটনা বিরল; যদিও কিছু রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজে নির্বাচিতদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইলেকটোরাল কলেজের সদস্য সংখ্যা ৫৩৮ জন। প্রেসিডেন্ট হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করতে হয়। তাই কম ভোট পেয়েও ইলেকটোরালে ভোট বেশি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে।
No comments: