Header Ads

উইলিয়াম শেকস্পিয়র জীবনী



উইলিয়াম শেকস্পিয়র জীবনী


বিশ্বের ইতিহাসে উইলিয়ম শেকস্পিয়র এক বিষ্ময়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নাট্যকার_ যার সৃষ্টি সম্বন্ধে এতো বেশি আলোচনা হয়েছে, তার অর্ধেকও অন্যদের নিয়ে হয়েছে কিনা সন্দেহ। অথচ তার জীবনকাহিনী সম্বন্ধে প্রায় কিছুই জানা যায় না বললেই চলে। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের অন্তর্গত এভন নদীর তীরে স্ট্রীটফোর্ড শহরে এক দরিদ্র পরিবারে শেকস্পীয়র জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় চার্চের তথ্য থেকে যা জানা যায়, তাতে অনুমান তিনি সম্ভবত ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জন শেকস্পিয়রের মা ছিলেন আর্ডেন পরিবারের সন্তান। শেকস্পীয়র As you like it নাটকে মায়ের নামকে অমর করে রেখেছেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নাট্যকার উইলিয়াম শেকস্পিয়র মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছেন। শিক্ষক মন্তব্য করেছিলেন 'বাবা তোমার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত অন্ধকার'। স্কুল ছেড়ে বালক শেকস্পিয়র অভাবের সংসারে গরুর দুধ দোয়াতেন, ভেড়ার লোম ছাড়াতেন, মাখন বানাতেন আর কাঁচা চামড়া ছাড়াতে বাবাকে সাহায্য করতেন। তার পরিবারের কেউ লেখাপড়া জানতেন না। অথচ তিনিই বিশ্ব সাহিত্যাঙ্গনে শুধু নাটকের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

১৮ বছর বয়সে শেকস্পিয়র বিবাহ করলেন তার চেয়ে ৮ বছরের বড় এ্যানি হাতওয়েকে। বিবাহের কয়েক মাসের মধ্যে এ্যানি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। তার নাম রাখা হয় সুসানা। এর দু'বছর পর দু'টি যজম সন্তানের জন্ম হয়। ছেলে হ্যামলেট মাত্র ১ বছর বেঁচে ছিল।

শোনা যায় সংসার নির্বাহের জন্য তাকে কাজকর্ম করতে হতো। একবার ক্ষুধার জ্বালায় স্যার টমাসের একটি হরিণকে হত্যা করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়াতে তিনি পালিয়ে আসেন লন্ডনে। কিন্তু এই কাহিনী কতদূর সত্য সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়ে যায়। তবে যে কারণেই হোক তিনি স্ট্রীটফোর্ড ত্যাগ করে লন্ডন শহরে আসেন। সম্পূর্ণ অপরিচিত শহর কাজের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে পেশাদারী রঙ্গমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। নাট্যজগতের সাথে এই প্রত্যক্ষ পরিচয়ই তার অন্তরের সুপ্ত প্রতিভার বীজকে ধীরে ধীরে অঙ্কুরিত করে তোলে।

No comments:

Popular Posts

BANGLA CNN NEWS. Powered by Blogger.